মির্জাপুরে নদীভাঙন রোধে নেওয়া হচ্ছে ব্যবস্থা
দৈনিক ইত্তেফাকে খবর প্রকাশের পর টাঙ্গাইলের মির্জাপুর উপজেলার বংশাই নদীর ফতেপুর ইউনিয়নের হাট ফতেপুর বাজার ও হাট ফতেপুর উচ্চ বিদ্যালয়সহ একাধিক প্রতিষ্ঠান রক্ষায় গাইড বাঁধ এলাকা পরিদর্শন করেছেন উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো. হাফিজুর রহমান এবং ওসি শেখ আবু সালেহ মাসুদ করিম।
এ বিষয়ে দৈনিক ইত্তেফাকে পর পর দুই দিন খবর প্রকাশের পর প্রশাসন এবং পানি উন্নয়ন বোর্ড ভাঙন প্রতিরোধে ব্যবস্থা নিতে শুরু করেছে। রবিবার (১২ জুন) তারা এলাকা পরিদর্শন করেন।
পানি উন্নয়ন বোর্ডের অধিনে নির্মিত গাইড বাঁধ ধসে যাওয়ায় হুমকির মুখে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান, হাট-বাজার, রাস্তাঘাট ও ফসলি জমিসহ বিভিন্ন স্থাপনা। একই অবস্থা লৌহজং নদীর আশেপাশে। তীব্র ভাঙনের ফলে এলাকায় আতঙ্ক দেখা দিয়েছে। স্থানীয় এমপি খান আহমেদ শুভ ভাঙন প্রতিরোধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা এবং ক্ষতিগ্রস্তদের সহায়তার আশ্বাস দিয়েছেন।
হাট ফতেপুর উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মো. ফরিদ
হোসেন বলেন, বংশাই নদীর সন্নিকটে হাট ফতেপুর উচ্চ বিদ্যালয়, মাদরাসা,
মসজিদ. হাট ফতেপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, ফতেপুর ইউনিয়ন পরিষদ,
স্বাস্থ্য উপকেন্দ্র, ইউনিয়ন ভূমি অফিস, মির্জাপুর-বাসাইল রাস্তা,
ফতেপুর-মহেড়া-মির্জাপুর রাস্তাসহ একাধিক প্রতিষ্ঠান এবং হাট ফতেপুর হাট ও
বাজার রয়েছে। বাদ যাচ্ছে না গোরস্থান, মসজিদ-মন্দির। প্রমত্তা ও করালগ্রাসী
বংশাই নদীর ভাঙনে বিদ্যালয়ের দক্ষিণ পাশ ভেঙে পড়েছে। এখন পুরো এলাকা
হুমিকর মুখে।
এলাকাবাসীর দাবির পরিপ্রেক্ষিতে ২০১৩-২০১৪ অর্থ বছরে পানি উন্নয়ন বোর্ড
প্রায় ২ কোটি টাকা ব্যয়ে গাইড বাঁধ নির্মাণ করলেও প্রতি বছর ভাঙন অব্যাহত
থাকায় বাজার ও শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান এখন হুমকির মুখে। বংশাই নদীর বাঙনের ফলে
ফতেপুর, থলপাড়া, বৈল্যানপুর, হিলড়া আদাবাড়ি বাজার, গোড়াইল, গাড়াইল,
পুষ্টকামুরী পুর্বপাড়া, বাওয়ার কুমারজানি, ত্রিমোহন, বান্দরমারা,
যুগিরকোপা, রশিদ দেওহাটা চাকলেশ্বরসহ ১০-১২টি গ্রাম বিলীন হওয়ার পথে।
বিস্তারিত দেখুন মির্জাপুরে নদীভাঙন রোধে নেওয়া হচ্ছে ব্যবস্থা
ছবি: ইত্তেফাক