রোববার রাতে ভয় ধরিয়ে দিয়েছিল তিস্তা নদী। বিপৎসীমার ৫৫ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে বইছিল নদীটির পানি। এ অবস্থায় লালমনিরহাট জেলার দোয়ানীতে অবস্থিত তিস্তা বাঁধ ও বাঁধসংলগ্ন ফ্লাড বাইপাস এলাকায় ‘রেড অ্যালার্ট’ জারি করে পানি উন্নয়ন বোর্ড কর্তৃপক্ষ।
পানি বেড়ে যাওয়ায় জেলার ডিমলা উপজেলার পূর্ব ছাতনাই, খগাখড়িবাড়ি, টেপাখড়িবাড়ি, খালিশা চাঁপানী, ঝুনাগাছ চাঁপানী ও গয়াবাড়ি ইউনিয়নের তিস্তার চরের প্রায় ১৫টি গ্রামের প্রায় ২৫ হাজার মানুষ পানিবন্দী হয়ে পড়েছেন। দেখা দিয়েছে খাবারের সংকট। মানুষগুলোর দিন কাটছে অনাহারে-অর্ধাহারে।
খালিশা চাঁপানী ইউনিয়নের ছোট খাতা গ্রামের বাজাহার আলীকে (৬০) রেড অ্যালার্টের কারণে বাড়ি ছাড়তে হয়েছে। স্ত্রী, তিন মেয়ে ও এক নাতিকে নিয়ে তিস্তা ডান তীর বাঁধের ধারে একটি বাড়িতে আশ্রয় নিয়েছেন। গতকাল সোমবার তিনি বলেন, ‘তিন–চাইর দিন থাকি পানি বাড়েছে, কাইল এত বেশি বাইরছে আইতত (রাতে) বাড়িঘর ফেলে বান্ধের পাড়ত মাইনসের বাড়িত আছিনো। পানি কইমলে বাড়ি যাবার নাইগবে।’ করোনার কারণে পেশায় বাবুর্চি বাজাহারের রোজগার বন্ধ প্রায় চার মাস। এর মধ্যেই বন্যায় পরিবারের খাবার জোগানো নিয়ে দিশেহারা তিনি।
বিস্তারিত দেখুন ফুঁসছে তিস্তা, না খেয়ে আছে পানিবন্দীরা
ছবি: প্রথম আলো