মহামারী কোভিড ১৯ বা করোনাকালে বেড়েছে বর্জ্য আর সেই সাথে বেড়েছে বর্জ্য ব্যবস্থাপনার প্রতি মানুষের উদাসীনতা।
একটি বিষয় আমার প্রায়ই মনে হয়, আর তা হল এদেশের মানুষ বর্জ্য নিয়ে যতটুকু সচেতন, ঠিক ততটুকুই অসচেতন বর্জ্য ব্যবস্থাপনা নিয়ে। অধিকাংশ মানুষেরই বর্জ্য ব্যবস্থাপনা নিয়ে তেমন কোন ধারণা নেই। অথচ নগর জীবনে যে কয়টি পরিবেশগত সমস্যা রয়েছে তার মধ্যে অন্যতম প্রধান হলো এই বর্জ্যের অব্যবস্থাপনা। বর্জ্য পদার্থের আধুনিক ও নিরাপদ অপসারণ ব্যবস্থার অপ্রতুলতা বাংলাদেশের অন্যতম প্রধান পরিবেশগত সমস্যাও। এ কারণে এ দেশের পরিবেশগত সমস্যার অন্যতম সমাধান হলো সঠিক বর্জ্য ব্যবস্থাপনা নিশ্চিত করা। বিশেষ করে বর্জ্য পদার্থের উৎপন্নের পর তার পৃথকীকরণ, শ্রেণীভিত্তিক সংরক্ষন, পরিবহন, পরিশোধন, প্রযোজ্য ক্ষেত্রে পুনঃব্যবহার এবং সর্বশেষ নিষ্কাশনের সমন্বিত ব্যবস্থা যদি নিশ্চিত করা না যায় তাহলে তাকে আমরা কোনক্রমেই সঠিক বর্জ্য ব্যবস্থাপনা বলতে পারিনা। এ কারণে আমরা প্রতিনিয়ত গৃহস্থালির বর্জ্য থেকে শুরু করে পয়োবর্জ্য বা অনেক ক্ষেত্রে শিল্পবর্জ্য যেখানে সেখানে নিক্ষিপ্ত হতে দেখি। এসমস্ত বর্জ্য পচে তার গন্ধ মারাত্মকভাবে বাতাস দূষিত করে। বর্ষা মৌসুমে এই পরিস্থিতি আরো মারাত্মক আকার ধারণ করে। এখন প্রায় প্রতিবছরই ডাস্টবিন থেকে পড়া কঠিন বর্জ্যের কারণে পয়ো নিষ্কাশন ব্যবস্থা সম্পূর্ণ অচল হয়ে পড়তে দেখা যায়।
বিস্তারিত দেখুন ফেসবুক
ছবি: শেখ মোজাহীদ